Not a member of Pastebin yet?
Sign Up,
it unlocks many cool features!
- {
- "button_text": "আপডেট করুন ও ৫ স্টার রেটিং দিন",
- "button_hints": "অ্যাপের নতুন ভার্সন 5.0.12 এ রামাদানের জন্য বিশেষ একটি সেটিংস যোগ করা হয়েছে!\n\nঅ্যাপ সম্পর্কে আপনার মতামত জানিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে 5 star রেটিং দিন ও অ্যাপের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আর্থিক সহযোগিতা করুন",
- "button_url": "https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan",
- "content_message": "আজ (২৯ মার্চ ২০২১) পবিত্র লাইলাতুন নিসফ মিন শা'বান বা শা'বান মাসের মাঝখানের রাত। যাকে আমরা শবে বরাত বলে থাকি। নিচে এ রাত সম্পর্কে সংক্ষেপে দুই একটি বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।\n\nএ রাতে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী এবং শিরককারী ব্যতীত সবাইকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। এছাড়াও আরও কিছু হাদীসে অন্যান্য কিছু গুনাহের কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমনঃ জাদুকর, পিতামাতার অবাধ্য, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ব্যভিচারী, গীবতকারী ইত্যাদি।\n\nআবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,\n\nআল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।\n\n(ইবনে মাজাহ ১৩৯০ http://ihadis.com/books/ibn-majah/hadis/1390, হাদীসের মানঃ হাসান সহীহ)\n\nতাই এ রাতের ক্ষমা লাভ করার জন্য আমাদের অন্তর থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে হবে। সকল শিরকী আক্বিদা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো মু'মিন ভাইয়ের প্রতি হিংসা রাখা যাবে না। অমুকে আমার মাজহাবের নয় তাই তাকে দেখতে পারি না, অমুকে আমার হুজুরের অনুসরন করে না দেখে তাকে দেখলে সালাম দিব না; এমন যেন না হয়। এসকল হিংসাত্মক আচরন থেকে মুক্ত থাকা কাম্য। \n\nআমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ছোট ছোট নানা শিরকে নিমজ্জিত। যেমনঃ লোক দেখানো ইবাদত করা। মানুষ ভাল বলবে এই উদ্দেশ্যে ইবাদত বা ভাল কাজ করাও শিরক এর অন্তর্ভুক্ত। অনেকে আবার আছে মাজারে গিয়ে কবরের সামনে সিজদা করে, মাজারে গিয়ে মৃত ব্যক্তির কাছে সাহায্য চায়। অনেকে আবার মনে করেন পীর সাহেব গায়েব জানেন। পীর সাহেব তার মুরিদকে শুপারিশ করে বেহেশতে নিয়ে যাবে। পীরের কাছে অনেকে সাহায্য চায়, পীরকে উদ্ধারকারী মনে করেন। এসকল বিষয়গুলোর সাথেও শিরকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।\n\nএজন্য এই রাতে আসুন আমরা সবাই তাওবা করি। মন থেকে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে, হিংসা মুক্ত হই। শিরকী আক্বিদা থেকে তাওবা করি। ইনশাআল্লাহ আমরা এতে নিষ্পাপ হতে পারব।\n\nএ রাতে অনেকেই অনেক ইবাদত-বন্দেগী করে থাকেন। অনেককেই দেখা যায় ১০০ রাকাত ২০০ রাকাত নামাজ পড়ে থাকেন। অনেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তথা কথিত \"শবে বরাতের নামাজ\" পড়ে থাকেন। শবে বরাতের জন্য বিশেষ নিয়মে কোনো নামাজ নাই। যদি কোনো বইতে শবে বরাতের নামাজের কোনো নিয়ম লেখা থাকে তাহলে ঐ বইটি পড়া বাদ দিয়ে দিন। বইটি সুন্নাহ এর অনুসরনে লিখা হয় নি। আপনি আপনার সাধ্য মত সর্বোচ্চ খুশু-খুযুর সাথে নামাজ পড়বেন। অন্য যে কোনো সময় সুন্নত বা নফল নামাজ যেভাবে পড়েন সেভাবে ২ রাকাত করে নামাজ পড়ে যাবেন। এসময় আপনার খেয়াল থাকবে নামাজের কোয়ালিটি নিয়ে। কোয়ান্টিটি নিয়ে নয়। আপনি অনেক লম্বা ক্বিরাত পড়বেন। দীর্ঘ সময় রুকু করবেন, দীর্ঘ সময় সিজদা করবেন।\n\nনবীজি (সা) কোনো রাতে ১০০-২০০ রাকাত নামাজ পড়েছেন বলে আমরা জানতে পারি নি। কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজে অনেক লম্বা রুকু, সিজদা করেছেন এমনটা হাদীস থেকে জানতে পারি। তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়িয়ে তিলাওয়াত করতে করতে সারা রাত পার হয়ে গিয়েছে এমন ঘটনার কথা জানতে পারি। এভাবে নামাজ আদায় করা নবীজির (সা) সারা বছরের আমল। তাই আমাদেরকে সারা বছরই সাধ্য মত কিছু কিছু করে হলেও তাহাজ্জুদ আদায় করা উচিত।\n\nএ রাতে মাজারে যাওয়া, কবরস্থানে গিয়ে জমায়েত হওয়া, মসজিদে গিয়ে জমায়েত হওয়া, এ রাতকে উদ্দেশ্য করে হালুয়া-রুটি বানানোর রেওয়াজ এগুলো বর্জন করা উচিত। অনেকে এ রাতে সন্ধ্যার পর গোসল করাকে বিশেষ ইবাদত মনে করেন। মনে করেন গোসলের পানির প্রতি ফোঁটায় গুনাহ ঝড়ে পড়বে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা। এসব থেকে বিরত থাকা কাম্য। অনেকে মনে করে থাকেন এ রাতে ভাগ্য লিখা হয়। এ বক্তব্যটিও সঠিক নয়।\n\nএ রাত সম্পর্কে কুরআন-হাদীসের দলিল ভিত্তিক আলোচনা। কী কী করণীয় আর কী কী বর্জনীয়। এ রাতকে কেন্দ্র করে সমাজে প্রচলিত শিরক ও বিদআত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে নিচের লিখা থেকেঃ\nhttps://hellohasan.com/2016/07/04/শবে-বরাত-ফজিলত-আমল\n\nআল্লাহ আমাদের সবাইকে লাইলাতুন নিসফ মিন শা'বানের ক্ষমা অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।",
- "content_title": "আজ লাইলাতুন নিসফ মিন শা'বান"
- }
Add Comment
Please, Sign In to add comment