কাশ্মীরঃ একটি রক্তাক্ত উপত্যকা

\কাশ্মীরঃ একটি রক্তাক্ত উপত্যকা//


নাহমাদুহু ওয়া নুসললি আলা রসুলিহিল কারীম,
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে  ১৯৮৯ সালে থেকে এখন পর্যন্ত কাশ্মীরে প্রায় ১,০০,০০০(একলক্ষ) মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত মাত্র পাকিস্তানও ছয় মাসের ব্যবধানে স্বাধীনতাকামী এই মুসলিম জনপদের উপর হামলা চালিয়েছে ৬৮৫ বার ।
প্রতিনিয়তই এই জনপদের নিরাপরাধ জনগণের উপর নেমে আসে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা আর অত্যাচার, নির্যাতন স্টীম রোলার। কখনো বা রাষ্ট্রীয় প্রহরায়, আবার কখনো রাষ্ট্র নিজেই  অংশ নেয় সেই দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞে।
এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘরে ঘরে ঢুকে মুসলিমদের হত্যার হুমকী দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি যাদের ব্যাপারে।

বলছি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কথা। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে একটু স্বাধীনভাবে হাঁটা, মন খুলে হাসা, স্বস্থির নিঃশ্বাস নেয়া ও মন ভরে রবের জমীনে চলার অধিকারটুকু
যে মানুষগুলো পায়না; তাদের কথা কি মনে আছে আমাদের? হাজার হাজার তাজা প্রাণ ঝরে গেলো, হাজার নারী বিধবা হলো, অসংখ্য মায়ের কোল খালি হলো, অগণিত শিশু
পিতা হারা হয়ে রইলো তা কী শুধুই কি হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের স্বার্থের জন্য? নাকি পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য?

না।  তা কখনোই হতে পারে না। ভারতীয় উপমহাদেশে কাশ্মীর আজ আরেক ফিলিস্তিনের নাম।  যারা নিজের ভূমির জন্য, ইসলামের পতাকাকে উদ্ধে তুলে ধরার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

অথচ আজকে হলুদ মিডিয়া কৌশলে কাশ্মিরীদের এই স্বাধীনতার সংগ্রাম, তাদের অর্জিত অবদান এবং জিহাদ গোপন করছে এবং এই ঘটনাবলিকে শুধুমাত্র পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার বিষয় হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
কারণ, তারা জানে! তারা জানে এই জিহাদের লাভা যদি ছড়িয়ে যায়, তাহলে তারাও এর কবল থেকে রক্ষা পাবে না। তাদের ধ্বংস নিশ্চিত। তাই, এই হলুদ মিডিয়া কাশ্মির এর
পবিত্র জিহাদকে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের ট্যাগ লাগিয়ে বারবার আমাদের ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে।

তাই, আমার প্রিয় ভাইরা!!! আমরা সাবধান হই। সচেতন হই। আমরা যেন মিথ্যার মায়াজালে ফেসে না যাই।
তাদের এই আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামকে আমরা যেন ভুল না বুঝি। আমরা যেন বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তান ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের
ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরের মুসলিম জনগণ ও তাদের ন্যায়-সঙ্গত অধিকারকে ভুলে না যাই।
তাদের সাহায্য ও সমর্থন দিতে যেন ভুলে না যাই। তাদের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে যেন ভুলে না যাই।

 হে প্রিয় ভাই! একটু ভাবুন তো, আজকে এতো এতো মানুষ মারা পড়ছে কেন? ভারতের জাতীর স্বার্থে? নাকি পাকিস্তানের শাসকদের জন্য?
 না! বরং কাশ্মীরের এই শার্দুলেরা নিজেদের বুকের তাজা খুনকে ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য জিহাদের ভূমিকে প্রস্তুত করছে। মুসলিম উম্মাহর
 এই হিরোরা আজ শাহাদাতের তামান্না ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে আছে।  আর এটা তো মূলত শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিয়ে যাওয়া ‘গাওয়ায়ে হিন্দ’এর সুসংবাদ কুড়ানো মাত্র।

 যেখানে আমরা ও আমাদের যুবকেরা কলেজ-ভার্সিটি, বন্ধু,আড্ডা-গানে মেতে আছে ঠিক সেই মুহুর্তে
 কাশ্মীরের যুবকেরা জিহাদের ময়দানে তাদের হামলার মাধ্যমে  ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করছে।
 হে যুবক, তুমি কি এখনো বলবে যে, তোমার জেগে ওঠার সময় হয়নি? তোমার বোন আসিফাকে নৃসংশভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হলেও কি তুমি মনে করো
 ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসই এর প্রতিবাদে যথেষ্ট? তোমার মাকে হত্যা করা হলে কি শুধু মিছিল নামক পুতুল খেলাই এর প্রতিবাদ হতে পারে? বাবার সামনে যুবতি
 মেয়েকে ধর্ষণ করার প্রতিশোধ কি একটু হা-হুতাশ?

 যামানা তোমার উপর হাসবে যদি এ চিন্তায় তুমি বিভোর থাকো! ইতিহাস তোমায় ধিক্কার দেবে যদি আজ জেগে না ওঠো!
 জেগে দেখো বিজয়য়ের সূর্য ঐ পূর্বাকাশে উঁকি দিচ্ছে, মাহদি সেনারা হিন্দুস্তানের জালেম শাসকদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে শামে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে...