Not a member of Pastebin yet?
Sign Up,
it unlocks many cool features!
- {
- "button_hints": "লেখাটি নেয়া হয়েছে ফেসবুক পেজ \"নোঙর - Nongor\" থেকে",
- "button_text": "See Original Post",
- "button_url": "https://www.facebook.com/NongorGolpo/photos/a.516411805529960/590266668144473/?type=1&theater",
- "content_message": "দ্য সুন্নাহ ডায়েট: এক্সিলেন্স অব রমাদান - ১\n- এম. রেজাউল করিম ভূঁইয়া\n\nবছরের সবোর্ত্তম মাস এসে গেছেন প্রায়, রমাদান। আলহামদুলিল্লাহ। আমরা বুঝি আর না বুঝি, এই মাস আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত আর শিফা, আমাদের জন্য। যদি সুন্নাহ মানা হয়। \n\nরমাদানের মূল কনসেপ্ট এর দিকে তাকালেই দেখবেন, এর ভিতরে মানুষের জাগতিক তিনটি 'প্রবল চাহিদা' কন্ট্রোল করার একটা প্র্যাকটিস করানো হয় , আমাদের দিয়ে। এই তিন চাহিদার স্বল্প পরিমান দরকার থাকলেও মানুষ অতিরিক্ত করে নিজেকে শেষ করে দেয়, কাজেই এই তিন চাহিদার একটা লিমিট করার জন্যই যেন রমাদান। \n\nচাহিদা তিনটি হল : অতিরিক্ত 'খাদ্যগ্রহণেচ্ছা, বৈধ যৌ_তা, ঘুমানো'। স্বাভাবিকভাবে খাওয়া, বৈধ যৌ_তা, ঘুমানো জায়েজ হলেও আমাদের প্রবণতা হল আমরা এগুলো বেশী বেশী করতে গিয়ে নিজেকে শেষ করে দি। শুধু দেহকে নয়, রূহ কেও। \n\nকাজেই রুহ এবং দেহকে বাঁচাতে হলে এই তিনটি বস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার প্রশিক্ষণই রমাদান। সেই প্রশিক্ষণ হবে কোন উপায়ে? সুন্নাহ উপায়ে , রাইট? \n\nশুধু খাদ্য গ্রহণ নিয়ে আজকের সিরিজ সীমাবদ্ধ রাখবো। \n=======\nরসূল(স) ইফতার করতেন কি দিয়ে ? বা সাহূর? \n\nতৎকালীন যুগে এভেইল্যাবল হালাল এবং উত্তম খাদ্য গুলো দিয়ে। রসূলের ইফতারীর তালিকায় ছিল : \n\nক. খেজুর \nখ. পানি \n(সাধারণভাবে এ দুটো কমন, অন্যগুলো কখনও কখনও, বা মাঝে মাঝে, ফ্রিকুয়েন্সী জানা নেই। )\n\nএছাড়াও রসূল/সাহাবী(রা) নিম্নের যেকোন একটি হয়তো খেতে পারতেন: \nগ. সাউইক ( গম এবং বার্লিংর মিক্সচার , আমাদের রুটি ইক্যুইভ্যালেন্ট হতে পারে ) \n\nঘ. থারীদ ( মাংস + রুটি )\n\nঙ. তালবীনা ( আটা+রুটি+মধু )\n\nচ. দুধ, \n\nছ. তৎকালীন শাকসবজি- অলিভ অয়েল -রোস্টেড মাংস-চীজ -সূপ এসব এভেইল্যাবল খাদ্য। \n\nসেহরীতে স্পেশালি 'থারীদ এবং খেজুর' পেয়েছি। তবে এসব খাদ্যই ঘোরাঘুরি করবে, অন্য কিছু হবার নয়। কারণ এভেইল্যাবল ছিলনা। \n\nবাই দ্য ওয়ে, রসূল(স) সব একসাথে খেতেন না, যে কোন একটা বা দুটো এক সাথে। একেক দিন একেকটা হবে। \n========\n\nএখন চিন্তা করেন, আমরা কি খাই?\n\nআমরা খাই, তেলে ভাজা বুট - মুরি, পেঁয়াজু , বেগুনী, আলুর চপ, টিকা-শামী-শিক কাবাব, সেই সাথে হরেক রকম কাবাব , হালীম, জিলাপী : এসব খাবার। \n\nকোথায় পেলাম আমরা এসব খাদ্য? আসতাগফিরুল্লাহ\n\nএগুলোর সবচে বড় অসুবিধা হল, এগুলো পোড়া তেলে ভাজা হয়। কাজেই এতে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্সফ্যাট মাত্রাতিরিক্ত থাকে। সুতরাং রমাদান মাসেই প্রতি বছর আমাদের বুকে ২-৩% ব্লক বেড়ে যায়। \n\nযদি বাসাতেও ভাজা হয়, তারপরও এসবে মাত্রাতিরিক্ত তেল থাকে, যা বুকে কিছু না কিছু ব্লক করেই। \n\nতার উপর এসব ভারী খাদ্য খেয়ে আমরা আর নড়তে পারিনা, ইফতারের পরেই পেটে ঠুসঠাস শুরু হয়ে যায়। হজম করতে এত কষ্ট হয়, মাঝে মাঝেই পেটে সমস্যাও হয়। ভারী খাদ্য খেয়ে সটান হয়ে পড়ে যেতে হয়, তারাবীহ পড়ার এনার্জি পাইনা।\n\nআর তারাবীহ তে অযুও রাখতে পারিনা। ফলাফল: রকেট তারাবীহ ...., \n\nরাতে ঘুমাতে ও হয় বেশী, কারণ তেল হজম করতে পেট টার খুব কষ্ট হয়, বেশী রেস্টের দরকার হয়, কাজেই ফজরের পর বেশী ঘুমাতে হয়। \n\nসুতরাং পুরো রমাদান টাই কিন্তু আমরা আসলে ঠিক মতন ইবাদত বন্দেগী করতেই পারিনা। খালি রান্না আর খাওয়ার মধ্যে দিয়েই শেষ হয়। \n\nঅথচ উদ্দেশ্য ছিল, একটু লাইট খেয়ে ইবাদত বন্দেগীর প্র্যাকটিস করবো, একটু কম ঘুমাবো, দ্বীনের উপর একটা কনসেন্ট্রেশন আসবে। \n\nআর সুখাদ্যের কথা বিবেচনায়, কিন্তু ইফতারীর সময় শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশী থাকা উচিত। অথচ আমরা কিন্তু বুট-পেয়াজু-বেগুনী-কাবাব-হালীম তে এমফ্যাসিস করছি, এটা কিন্তু তেল এবং আমিষ জাতীয় খাবার।\n\nযেখানে মূলত: শর্করা র সাথে হালকা আমিষ দরকার ছিল, সেখানে আমরা খাচ্ছি, বিষাক্ত তেল আর আমিষ? বিষাক্ত তেল খেয়ে বুকে ব্লক হচ্ছে, আর অতিরিক্ত আমিষ খেয়ে কিডনী নষ্ট হচ্ছে। সুন্নাতের খেলাফ করার উপরি পাওনা এগুলো। আল্লাহ আমাদের শীফা দান করুন। \n\nযেখানে রমাদানে হালকা খেয়ে শরীর টাকে হালকা করে ফেলার কথা ছিল, সেখানে রমাদানেই আমরা ৩-৪ কেজি ওয়েট গেইন করছি। এই ৩-৪ কেজি চর্বি যে জমলো, এটা কি হজমের অপচয় নয়? হজম করতে যে সময় লেগেছে, তার কারণে যে ইবাদতগুলো নষ্ট হয়েছে, সেটা কি আমাদের বিশাল লস নয়? তার উপর বুকে ব্লক আর কিডনী ড্যামেজ তো উপরি পাওনা হয়েছে । \n\nকিজন্য আল্লাহ রমাদান দিলেন, আর আমরা কি বানালাম? আসতাগফিরুল্লাহ। \n==========\n\nপ্রায় ৬ বছর দেশের বাহিরে আরব-আফ্রিকান-মালয়দের সাথে ইফতারী করলাম, কোনদিন বুট-পেয়াজু-বেগুনী এইসব ভাজা-পোড়া খাবার দেখলাম না। নরমাল রাইস-রুটি-সবজি- মাংস-খেজুর- এইসব খায় সবাই। \n\n========\n\nআসুন, আমাদের খাদ্য গ্রহণটা রসূল(স) এর মতন করি। রমাদানকে বুকে ব্লক হবার মাস না বানাই, কিডনী ড্যামেজের মাস না বানাই। রমাদান মাস হোক ইবাদতের, মনোযোগের, ভুড়ি কমানোর, সুস্বাস্থ্যের। দেহেরও কল্যান , রূহেরও কল্যান করি। \n\nদেশে এভেইল্যাবল খাদ্য থেকে একটি রমাদান ডায়েট দিলাম। পছন্দ হলে মেইন্টেইন করতে পারেন। \n\n========\n\n",
- "content_title": "দ্য সুন্নাহ ডায়েট: এক্সিলেন্স অব রমাদান - ১"
- }
Add Comment
Please, Sign In to add comment