Advertisement
fahim420

ভাষার টানে,শেকড়ের খোঁজে!! (মাগুর রুবায়েত)

Feb 15th, 2016
144
0
Never
Not a member of Pastebin yet? Sign Up, it unlocks many cool features!
text 14.23 KB | None | 0 0
  1. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার খোঁজে মুঃ রুবায়েত হোসেন (https://www.facebook.com/magurrubayet) এর খাগড়াছড়ি>রাঙামাটি>বান্দরবান এ সাইক্লিং ‘ভাষার টানে, শেকড়ের সন্ধানে’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্স।
  2.  
  3. যাত্রা শুরুঃ ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
  4. যাত্রার শুরুর স্থান: বারৈয়ারহাট, ফেনী
  5. রুটঃ বারৈয়ারহাট > করেরহাট > রামগড় > জালিয়াপাড়া > খাগড়াছড়ি > মহালছড়ি > রাঙামাটি > খাগড়া > বড়ইছড়ি > বাঙ্গালহালিয়া > বান্দরবন>ওয়াই জংশন > রুমা বাজার > বগালেক > কেউক্রাডং
  6.  
  7. আয়োজকঃ ঢোলক কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া
  8. সংবাদ সহযোগীঃ ডেইলি স্টার
  9.  
  10. জাতি হিসাবে ভাষা নিয়ে আমাদের একটা বিশেষ গৌরব আছে। আমরাই সেই জাতী যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। সে হিসেবে আমাদের দেশে আদিবাসীদের মাতৃভাষার অবস্থা ভালোই থাকবার কথা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো কালের স্রোতে পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এদেশের বৈচিত্র্যময় আদিবাসীদের ভাষাও আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। বাংলাদেশে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৫৪টি। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ৩০টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষার সন্ধান পাওয়া যাবে। তাদের মধ্যে নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে ৫-৬টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর। এ ভাষাগুলোও প্রতিনিয়ত বিলুপ্তির পথেই ধাবিত হচ্ছে।
  11.  
  12. আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালায় বিদ্যমান। বর্তমান সরকারও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এমন ভাবে প্রণয়ন করেছেন যে, শুধু জাতীয় শিক্ষানীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করলেও আদিবাসীদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় এক যুগান্তকারী ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। শিক্ষানীতির অন্যতম (৭ নং) উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে আর্থসামাজিক শ্রেণী-বৈষম্য ও নারীপুরুষ বৈষম্য দূর করা,অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তোলা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা।
  13.  
  14. জাতীয় শিক্ষানীতি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ কারন এর আংশিক বাস্তবায়নই দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন সেটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। আদিবাসীদের ভাষা রক্ষায় বর্তমান সরকার অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী এবং তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আইন করেছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আইন ২০১০ প্রণয়ন করে সরকার আদিবাসীদের ভাষা রক্ষার গুরুত্বও স্বীকার করে নিয়েছে। এছাড়া বান্দরবান-রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৩৬ (ঠ) ধারায় মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
  15.  
  16. এই সকল নীতিমালা এবং আইনের আলোকে সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলে আদিবাসীদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার ব্যাপারে আরো সচেষ্ট এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন বলে আশা করি। জাতীয় শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই মাসে সকল ভাষার প্রতি সমান গুরুত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই টিকে থাকুক পৃথিবীর সকল মায়ের মুখের ভাষা। সারা বিশ্বের মাতৃভাষা রক্ষার এই আন্দোলনে আমরা বাঙালীরাই দেব নতুন পথের নতুন আলোর সন্ধান।
  17. জাতি হিসাবে ভাষা নিয়ে আমাদের একটা বিশেষ গৌরব আছে। আমরাই সেই জাতী যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। সে হিসেবে আমাদের দেশে আদিবাসীদের মাতৃভাষার অবস্থা ভালোই থাকবার কথা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো কালের স্রোতে পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এদেশের বৈচিত্র্যময় আদিবাসীদের ভাষাও আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। বাংলাদেশে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৫৪টি। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ৩০টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষার সন্ধান পাওয়া যাবে। তাদের মধ্যে নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে ৫-৬টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর। এ ভাষাগুলোও প্রতিনিয়ত বিলুপ্তির পথেই ধাবিত হচ্ছে।
  18.  
  19. আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালায় বিদ্যমান। বর্তমান সরকারও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এমন ভাবে প্রণয়ন করেছেন যে, শুধু জাতীয় শিক্ষানীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করলেও আদিবাসীদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় এক যুগান্তকারী ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
  20. শিক্ষানীতির অন্যতম (৭ নং) উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে আর্থসামাজিক শ্রেণী-বৈষম্য ও নারীপুরুষ বৈষম্য দূর করা,অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তোলা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা। আরেকটি (১৬ নং) উদ্দেশ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিকশিক্ষার মাধ্যমে উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য (২৩ নং) দেশের আদিবাসীসহ সকল ক্ষুদ্রজাতিসত্তার সংস্কৃতি ও ভাষার বিকাশ ঘটানো। এই শিক্ষানীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ের (প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা) আদিবাসী শিশু শিরোনামের ১৮ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আদিবাসী শিশুরা যাতে নিজেদের ভাষা শিখতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদের জন্য আদিবাসী শিক্ষক ও পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা করা হবে। এই কাজে, বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে, আদিবাসী সমাজকে সম্পৃক্ত করা হবে। ১৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আদিবাসী প্রান্তিক শিশুদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ২০ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আদিবাসী অধ্যুষিত (পাহাড় কিংবা সমতল) যেসকল এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসকল এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। যেহেতু কোনো কোনো এলাকায় আদিবাসীদের বসতি হালকা তাই একটি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আবাসিক ব্যবস্থার প্রয়োজন হলে সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।
  21.  
  22. জাতীয় শিক্ষানীতি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ কারন এর আংশিক বাস্তবায়নই দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন সেটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। আদিবাসীদের ভাষা রক্ষায় বর্তমান সরকার অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী এবং তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আইন করেছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আইন ২০১০ প্রণয়ন করে সরকার আদিবাসীদের ভাষা রক্ষার গুরুত্বও স্বীকার করে নিয়েছে। এছাড়া বান্দরবান-রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৩৬ (ঠ) ধারায় মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়
  23.  
  24.  
  25.  
  26. ((( বিশ্ববিদ্যালয় টিম ইচ্ছেঘুড়ি পাঠশালার সাথে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করে।ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো )))
  27.  
  28. ইউটিউব লিঙ্ক- https://www.youtube.com/watch?v=UgqxB3zTchI
Advertisement
Add Comment
Please, Sign In to add comment
Advertisement