dua-kobuler-golpogulo

{
  "button_hints": "আমাদেরকে উৎসাহ দিতে গুগল প্লে স্টোরে ৫ স্টার রেটিং দিন",
  "button_text": "রেটিং দিন",
  "button_url": "https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan",
  "content_message": "আমরা আসলেই কি বিশ্বাস করি যে দুআর মাধ্যমে আমাদের জীবনকে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি? দুআর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক পেতে পারি, এটা কি আসলেই আমরা বিশ্বাস করি? আসলেই কি এখনকার জমানাতেও দুআ করলে আল্লাহ বান্দার ডাকে সাড়া দেন? এখনো কি দুআর মাধ্যমে অলৌকিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়? আমাদের সমসাময়িক সময়ে এমন উদাহরণ কি রয়েছে?\n \nএই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একত্রে পাওয়া যাবে \"দুআ কবুলের গল্পগুলো\" বইটিতে। প্রায় সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা দ্বারা বইটিকে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্প বা ঘটনাই হৃদয়কে স্পর্শ করে যাবার মত। প্রতিটা গল্প পড়ার পরই আপনার মুখ থেকে স্বতস্ফূর্ত ভাবে বের হয়ে আসবে সুবহানাল্লাহ তাসবীহ। প্রতিটি পাতায় পাতায় আপনি প্রমাণ পাবেন আল্লাহ যে বান্দার ডাকে সাড়া দেন তার সত্যতা। আপনার হতাশা আর কষ্টের জীবনে আরেকবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবেন আল্লাহর কাছে দুআ করার মাধ্যমে। এ বইটি  আপনার অবসর সময়গুলো বা বাসের বিরক্তিকর জ্যামের সময়গুলোকে দুআর মত একটা ইবাদতের উসিলা হতে পারে।\n \nএকটি ঘটনা এখানে সংক্ষেপে শেয়ার করা যেতে পারে। মিসরীয় এক মা বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় তার মেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো। একা বাইরে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ ছিল না বা টাকা পয়সাও ছিল না। সেই মা একমাত্র ভরসা করলেন আল্লাহর উপর আর প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে লাগলেন। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করেই যাচ্ছিলেন।  হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ! জানতে চাইলে আগন্তুক উত্তর দিলেন তিনি একজন ডাক্তার! রুগি দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে ওঠার সময় ডাক্তার তার ভিজিট চাইলেন। মা জানালেন তাকে দেয়ার মত কোনো টাকাই তার কাছে নাই। সেই ডাক্তার বেশ বিরক্তই হলেন। বললেন রাত দুপুরে ফোন করে ডেকে এখন বলছেন টাকা নাই? সেই মা জানালেন তিনি ফোন করেন নি, এমন কি তার বাড়িতে কোনো টেলিফোনের লাইনও নাই! ডাক্তার অবাক হয়ে জানতে চাইলেন এটা ২০৩ নাম্বার বাড়ি তো? ভদ্র মহিলা জানালেন এটা ২০৩ না, বরং পাশের বাড়িটার নাম্বার ২০৩! তারা হয়ত তাদের কোনো রুগির জন্য ফোন করেছে। ডাক্তারের যেন বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাও শেষ হয়ে গেছে। সেই মায়ের কাছে জানতে চাইলে মা জানালেন তিনি মেয়ে অসুস্থ্য হবার পর থেকে শুধু আল্লাহর কাছেই দুআ করে যাচ্ছিলেন। আল্লাহর সাহায্যের প্রতিই তিনি একমাত্র মুখাপেক্ষী ছিলেন। আর আল্লাহই এই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন! সুবহানাল্লাহ!!!\n \nএরকম ঈমান বাড়িয়ে দেয়ার মত ৪৩ টি ঘটনা পাওয়া যাবে এই বইটিতে। একই সাথে বইয়ের শেষে রয়েছে দুআ কবুল হওয়ার জন্য কিছু টিপস। আছে দুআ কবুল হওয়ার কিছু ক্ষেত্র, স্থান ও সময়ের উল্লেখ।\n \nআপনার মধ্যে এই বইটি দুআ করার আনন্দ আর প্রশান্তি ছড়িয়ে দিতে পারে। আপনি যদি জীবনের কঠিনতম কোনো পরিস্থিতি পার করতে থাকেন তাহলে এখনি সময় এই বইটি পড়ে ফেলার!\n\nবই সম্পর্কিত কিছু তথ্য\n---------------------------------\nদুআ কবুলের গল্পগুলো বইটি মূলত একটি অনুবাদ গ্রন্থ। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ইউটিউবে ইসলামিক স্কলারদের লেকচার থেকে এর মূল কনটেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বইটি অসাধারণ। আমার ব্যক্তি জীবনে এর সুপ্রভাব পড়ছে ও সকল পাঠকের জীবনেও পড়বে ইনশাআল্লাহ।\n \nলেখাগুলো সংগ্রহ, অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ রাজীব হাসান\nপ্রকাশকঃ আযান প্রকাশনী\nপৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯২\nগল্প সংখ্যাঃ ৪৩\nডিসেম্বর ২০১৯ সংস্করণ\nমুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা\n\nবইটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত রিভিউ পড়তে ভিজিট করুন এই ঠিকানায়ঃ\nhttps://hellohasan.com/2020/01/14/দুআ-কবুলের-গল্পগুলো\n\nবইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন।",
  "content_title": "দুয়া কবুলের গল্পগুলো"
}