Advertisement
codecstasy

Polemics

Jul 31st, 2022
199
0
Never
Not a member of Pastebin yet? Sign Up, it unlocks many cool features!
text 26.36 KB | None | 0 0
  1. ১)
  2. রুহুল ভাইয়ের আত্ম জিজ্ঞাসার উত্তরে
  3.  
  4. "১, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা রাজনীতি শুরু করেছিলাম বা করেছি, আমরা কি সেই লক্ষ্যের দিকে আগাতে পারছি?? যদি না পারি, তবে কেন পারছি না? আর যদি সত্যি পেরে থাকি, তবে দেশের মানুষের অবস্থা সমস্ত প্যারামিটারে ক্রমশ খারাপের দিকেই কেন অগ্রসর হচ্ছে? আমরা সত্যিকার অর্থে প্রতিরোধ ধর্মী কেন কিছু করতে পারছি না? "
  5.  
  6. রুহুল ভাইয়ের এই প্রশ্নটা বামপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাসংগিক প্রশ্ন। এটার উত্তরও বিভিন্ন মাত্রিক। এখানে আমি আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করব।
  7.  
  8. প্রথমত, এখন বামপন্থীদের কোন নিয়ন্ত্রক নেই। যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল তখন বামরা মোটামুটি একটা লোকবল রাখত। কারন বামরা মনে করত তাদের মাথার উপর বড় ছাদ আছে। বাস্তব কথা হলো বহু সিরিয়াস পলিটিশিয়ানরাও সেই ছাদের দিকে তাকিয়েই রাজনীতি করত। একটা আশ্রয় ছিল বাম দলগুলোর, কারন সোভিয়েত নানা ভাবে দেশে দেশে বামদের প্যাট্রোনাইজ করত তারা সোভিয়েত প্রদত্ত সুবিধা নিত এবং ধারনা করত সোভিয়েত থাকলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারলেও টিকে থাকতে পারবে।
  9. অন্তত তারা সোভিয়েতের দিকে তাকিয়ে একটা শক্তি পেত।
  10. কিন্তু সোভিয়েত পতন জনমনে সমাজতন্ত্রের আসক্তি খুব দ্রুত কমাতে থাকে।
  11.  
  12. দ্বিতীয়ত, ভারতে বাম রাজনীতি শুরু হয় সোভিয়েত বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে। তখন বামদের মার্ক্স লেনিন পড়ার মত রিসোর্সো ছিল না। এদিকে ইংরেজরা আবার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা দিল। ইউরোপে আপনা আপনি রেনেসা হয়ছে, যেখানে রাষ্ট্রের খুব একটা নিয়ন্ত্রন ছিল না। অথচ ভারতের জ্ঞান চর্চার নিয়ন্ত্রক ছিল ব্রিটিশরা তাই তাদের দেয়া শিক্ষাতেই আমরা "শিক্ষিত" হতাম। তাই সে সময়ের নেতাদের আসলে মার্ক্সীয় জ্ঞান/উপলব্ধির জন্য উপরের দিকে (সোভিয়েত) তাকিয়ে থাকতে হয়েছে।
  13.  
  14. তৃতীয়ত, ভারতে পলিমিক্সের কালচার ধ্বংস হয় মুসলমানদের হাত ধরে। এই কালচার হীনতা, ব্রিটিশদের যে শিক্ষা আসলে সমাজের ক্লেদকেই উপর দিয়ে ঢেকে তল দিয়ে আরো বিষাক্ত হয়ে উঠতে দিয়েছে - ভারতীয়দেরকে সেই শিক্ষার দাসে পরিনত করেছে। তাই ভারতীয়রা পরবর্তীতে কখনোই মার্ক্স বা স্যোশ্যাল সাইন্সে গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক বা দর্শন জগৎ সৃষ্টি করতে পারে নি। একটা দেশে যখন দর্শন জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা থাকে কেবল তখনই সেখানের পরিবর্তনের দায় যারা নেয় তাদের অন্যদের উপর ভরসা করতে হয় না। এই দার্শনিক দৈন্যতার কারনে ভারতীয়রা পুজিবাদ কিংবা সমাজতন্ত্র কোনটাই নিজ দেশে চুড়ান্ত নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে যেতে পারে নাই। উভয় ক্ষেত্রেই তাদের উপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে।
  15.  
  16. চতুর্থত, ক্যাপিটালিজম টিকতে যে কাঠামোটা লাগে সেটা আমাদের বানাতে হয়নি। সেটা বানানোর সময় রাষ্ট্র কিছুটা দুর্বল থাকে রাষ্ট্রের সেই দুর্বল ফেজও ভারতীয়রা পাই নি। কারন পুরা ক্যাপিটালিজমের আমলা তন্ত্র হুবহু বৃটিশ থেকে কপি করে রেখে দিয়েছে ভারতীয়রা। ফলে ভারতীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো (শুধু ভারতীয় রাষ্ট্রগুলো না সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ) জন্ম থেকেই বেশ শক্তিশালী রাষ্ট্র। এই শক্তিশালী রাষ্ট্রকে লেনিন কিংবা মাও এর দুর্বল রাষ্ট্র আঘাত করার তত্ত্ব দিয়ে আঘাত করতে যাওয়াও একটা অফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত। তাই কোন ব্রিটিশ উপনিবেশে এখনো বিপ্লব হয় নি।
  17.  
  18. উপরের কারনগুলো থেকে এবার আমরা দেখব কিভাবে ভারতে বাম রাজনীতি চর্চিত হয়ে এসেছে। ভারতে যখন বাম রাজনীতি একটু লোকবল জড় করে ততদিনে স্টালিনের আমল চলে আসে। স্টালিন দেশে দেশে বাম দলদের মাথার ছাতা হয়ে থাকতে চাইত। আবার যুদ্ধ পরবর্তী নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোতে একটা ভালো ট্রেন্ড হয়ে যায় সমাজতন্ত্র। যার জন্য মুজিবকেও সংবিধানে সমাজতন্ত্র নামটা যোগ করতে হয়। কিন্তু স্টালিনের/মাওয়ের আশীর্বাদ পেয়েও বাম দলগুলো বড় "লোকবল" হয়েই ছিল ভারতীয় অঞ্চলে পার্টি আর হতে পারে নি। এই লোকবল যে কতখানি ফাপা ক্রেজের উপর ছিল তার প্রমান এখন মেলে যখন আর সোভিয়েত নাই।
  19. সোভিয়েত আমলাতান্ত্রিক দল পরিচালনার উদ্দেশ্য নিয়ে সোভিয়েত/চীন ও ভারতীয় বুর্জোয়া দলগুলোর পরিচালনা পদ্ধতির একটা মিশেল নিয়ে চলতে থাকে এসব দল। যার ফলে একদিক থেকে নেতৃত্ব নিয়ে ক্রেজ তৈরি হয় (যেটা সোভিয়েত থেকে প্রাপ্ত) অন্য দিক থেকে ভোটের রাজনীতি (যেটা বুর্জোয়া ধারা)। এই দুই হাতে নিয়েই চলতে থাকে বামদের বড় অংশ। তাই কর্মীদের মধ্যে দেশ-সমাজ-রাষ্ট্র এসব এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় কোন নেতা কেমন। এই ধারাবাহিকতা এখনো বর্তমান। আমার মনে আছে সাম্যদা আমাকে রাজনীতিতে রিক্রুট করার জন্য অল্প কয়েকদিন অর্থনীতি, রাষ্ট্র এসব নিয়ে আলাপ করেছিল তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নেতাদের র‍্যাংকিং। কোন নেতা কেমন! হায়দারের ভাইয়ের পর কে কত বড় নেতা!
  20. যাই হোক, ভারতীয় বামদের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে নেতা নিয়েই দল ভাগাভাগি, পদ্ধতি তত্ত্ব এগুলো প্রায় সব সময়ই কর্মী ভুলানো ব্যাপার একই সাথে আত্মভুলানোও। এই নেতৃত্ব নির্ভরতার জন্যই দেখা যেত সোভিয়েত ও চীনের দন্দ বামদলগুলোকেও ভাগ করে ফেলছে।
  21. সে সময় এই সমাজতান্ত্রিক জোয়াড়ের কারনেই মানুষ দলে দলে যোগ দেয় বামদলে। তার পরেও সৎ মানুষরা বেশি আকৃষ্ট হত বাম দলের দিকে। যেহেতু বামদের মোটিভ শুনতে খুবই সুন্দর শোনায় এবং একই সাথে বামদের একটা মুর্ত রুপ ছিল সোভিয়েত বা চীন। এদিকে সোভিয়েত নেতৃত্ব ও চীন নেতৃত্ব সমাজতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বিষয়ক উপলব্ধির ধারণা নিজের পার্টির ভিতর কুক্ষিগত করে রাখে। অর্থাৎ সমাজতন্ত্র কি কিভাবে পরিচালিত হবে এই সব গবেষণার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যাবহার না করে পার্টিকেই এসবের অথরিটি হিসাবে কাজ করতে থাকে। একটা উদাহরণ দেই। পুজিবাদী দেশে রাষ্ট্র - সমাজ অর্থনীতি নিয়ে এক্সপার্ট তৈরি করার জন্য অনেক সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহন করে তবেই একটা পুজিবাদী রাষ্ট্রের সংকট সমাধানে এই এক্সপার্টরা অংশগ্রহণ করে। এতে রাষ্ট্র প্রধান এদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে। যেমন বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সংকট কালে বাংলাদেশ IMF এর এক্সপার্ট দের সাথে আলোচনায় বসতে চাইছে। আবার সারা দুনিয়ায় যখন পুজিবাদী অর্থনীতি সংকটে ছিল তখন কেইন্স কোন রাষ্ট্র প্রধান না হয়েও এই সংকট সমাধানে ভুমিকা নেয়। সমাজতান্ত্রিকদের মধ্যে এই ব্যাপারটা ছিল না। সমাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পার্টি প্রধানরাই দর্শনসৃষ্টি ও অর্থনীতির তাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক্সপার্টের ভুমিকা নিত। এই জন্য পার্টি নেতা হতে গেলে তার এসব বিষয়ে জ্ঞানের পরিমাপটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার পার্টি নেতাদের পক্ষে ত আর একাই জ্ঞান জাহাজ হয়ে ওঠা সম্ভব না (লেনিনের মত অল্প কিছু ব্যাতিক্রম আছে) তাই এরকম নেতার সংকট দেখা দিল সারা বাম শিবির জুড়েই। এর প্রভাব ভারতেও পড়ল। নেতাদের জ্ঞানী হওয়া অত্যাবশ্যক হওয়ায় অধিকাংশ দলের মুল লেখাগুলো মানে দলের গঠনতন্ত্র, রণনীতি এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো দিন শেষে কপি করল। একে মুসলিম শাসন কাল থেকে পলিমিক্সের তীব্র অভাব তার সাথে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের এই প্রাক্টিস দুই মিলে ভারতীয় বামদলগুলোর অবস্থা এই দাড়াল যে জ্ঞানশুণ্য জ্ঞানাভিমানী নেতৃত্ব তৈরি হওয়া প্রায় অবসম্ভাবী হয়ে দাড়াল।
  22. এদিকে একটা বড় লোকবল যা ভারতীয় বামদের ছিল- তাদেরকে এই লোকবল টিকিয়ে রাখতে মাঠ কার্যক্রম শক্তিশালী করতে গুরুত্ব দিতে হয়, যার ফলশ্রুতিতেই বুর্জোয়া রাজনীতির কিছু মুখস্থ নিন্দা, আর বুর্জোয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতাই অর্জন করতে পারে না এই বামদলগুলো। এখন আমারা একটা বিষয় স্পষ্ট যে ভারতে ঐতিহাসিক ভাবেই বামদলগুলোর প্রধান কাজ হয়ে ওঠে কর্মী সক্রিয় রাখার কাজগুলো করা বা ক্ষমতায় যাওয়ার বুর্জোয়া রাজনীতি। কারন নতুন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দল পরিচালনা করতে গেলে বর্তমান অর্থনীতির সংকট ও পরিত্রাণের উপয় নিয়ে বিস্তারিত ও বিশেষায়িত আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকতে হয়। সে আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকলে স্রোতের সাথে গা না ভাসানো ছাড়া অস্তিত্ব টিকানো যায় না। সেজন্য ভারতীয় বামদের ডান রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়া আর কোন কিছু করার মত অপশন থাকে না।
  23. এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতে পাই যে নতুন অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষমতা অর্জন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার যে বৈপ্লবিক উদ্দেশ্য তা জন্মগত ভাবেই ভারতীয় বাম রাজনীতিতে অনুপস্থিত। তার ফলে বামরা যাই করে না কেন তা দিন শেষে বুর্জোয়া রাজনীতির ছকেই বাধা পড়ে। তাই পুজিবাদী অর্থনীতির কোন সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার সক্ষমতা বামদের একশ বছরের ইতিহাসে কখনোই হয় নি।
  24. এর অবস্থা ভারতীয় উপমহাদেশের সকল বামদের মেনে নিতে হবে। তার বাইরে নয় এসিউসিয়াই, বাসদ, বাসদ ম, সাম্যবাদী আন্দোলন কেউই। এখন সোভিয়েত নেই, আছে শুধু সোভিয়েত নির্মানের স্বপ্ন। যে স্বপ্ন এখন আর অধিকাংশ মানুষকেই মোহাবিষ্ট করে না। তাই বামদের সংখ্যা খুব হ্রাস পেয়েছে সোভিয়েত পতনের পর। কিন্তু পতনের পর যারাই এই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে তাদেরকে দলের নেতৃত্ব কিছু কাল্পনিক অবাস্তব স্বপ্ন ও ইথিক্স দিয়ে বেধে ফেলে। এই স্বপ্নের সাথে বাস্তবতা যেমন মিলে না আর এই ইথিক্স বাস্তবে কাজ করে না। (এই মায়া জাল বা ঘোর থেকে একজন বামকর্মী যখন বের হয়ে যায় তখন সে পড়ে মহা বিপাকে) তখন দল ও তার নেতৃত্ব শুধু চায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। এই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে তারা কর্মীদের ভুল ভাল বুঝিয়ে আর ইথিক্সের ফাদে ফেলে বুঝাতে চায় দলটা খুব ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছে !
  25. বামদল গুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই আলোচনা আরও ভালো করে বুঝতে গেলে বামদের কর্মী ও সমর্থক রিক্রুটিং প্রসেস বুঝতে হবে। এদের টার্গেট হল একটু বড় ছাত্র মানে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের ছাত্র। এদের ভিতর থেকে যারা একটু মানব দরদী ও বাস্তব জ্ঞান কম তাদের টার্গেট করা হয়। বাস্তব জ্ঞান কম হওয়াটা জরুরী এতে করে তাদের নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়। তরপর থেকে দেয়া হয় পার্সোনাল কম্পানি। এদের সাথে ঘোরা গাজা খাওয়া বা গান বাজনা করা ইত্যাদি। যারা একটু লোনলি তাদের এই উপায়ে খুব ভালো মন জয় করা যায়। তারপর থেকে একটু একটু করে মিছিলে নেয়া এবং নেতৃত্বকে মানার জন্য নতুন ইথিক্স তার মাথায় প্রগতিশীলতার নাম করে ধীরে ধীরে ঢুকানো। এতে করে খুব বেশি কাজ করে না কারন বড়োজোর ৫০০ মানুষ দেশের কোটি কোটি ছাত্র যুবকের মধ্যে কজনকেই আর বুঝিয়ে বুঝিয়ে সময় দিয়ে লোনলি ফিল থেকে মুক্ত করে রাজনীতি করাতে পারবে?? তারপরেও যারা করে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই টেকে না, কারন অনেকেরই এই বিলাসিতা করার মত অর্থনৈতিক বাস্তবতা থাকে না। আবার অনেকে এই ফাদটা বুঝে ফেলে হতাশ হয় বা কেটে পড়ে বা ব্যক্তিগত এই গুরুত্ব বা ভালোবাসা পাওয়ার যায়গাটা হারায়। কিন্তু এত চড়াই উতরাইয়ের পড়েও যারা টিকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বুঝতে হবে নেতৃত্ব ভালোই প্রভাব রাখতে পারে। এই প্রভাব রাখাটাই নেতৃত্ব নির্বাচনের মানদন্ড। যার প্রভাব বেশি সে যদি নেতার মত ক্ষমতা ভোগ করতে না পারে সেক্ষত্রে দল ভেঙ্গে ফেলে। বাসদের সকল ভাঙ্গন এই ধরনের ভাঙ্গগনই।
  26. একটু লক্ষ্য করলেই বুঝয়া যাবে এই দল পরিচালনার সাথে দেশ রাষ্ট্র সমাজের কোন সম্পর্ক নাই। আর এভাবে বুঝিয়ে রাজনীতি করা একটা প্রিভিলেজড ক্লাস ছাড়া অন্যদের মধ্যে সম্ভব নয়। তাই বামরাজনীতির সকলেই প্রিভিলেজড ক্লাসে বিলং করে। এদের ত্যাগ থাকলেও এরা অর্থনীতিক চাপে জীবনধারনের জন্য শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য না। অথচ বামদের কাজ তাদের মধ্যেই হওয়া উচিত ছিল যারা জীবন ধারন করতে শ্রম বেচতে বাধ্য হয়। মধ্যবিত্তের মধ্যে এমন রুপে বিচরন করতে করতে দলটা হয়ে পরে মধ্যবিত্তের দল। সে মধ্যবিত্তের আকাঙ্গখাকেই বাস্তবায়ন করতে চায়। অথচ মধ্যবিত্ত চায় বাস্তবে বিত্তবান হতে। তাই বামদের দাবীগুলোও হয় মধ্যবিত্তকে বিত্তবান করার দাবী।
  27. আবার রাজনৈতিক ভাবেও বামদের জনবিচ্ছিন্নতার কারনে খুবই মিডিয়া নির্ভর হতে হয়। মিডিয়া যেহেতু পুজিবাদের অস্ত্র হয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে তাই বামরাও হয়ে পড়ে রাষ্ট্রের পুতুল। রাষ্ট্র যেরকম সংবাদ দেয় বামরা সেরুপ ভাবে সেইসব বিষয়ে তাদের বক্তব্য দেয়। অথচ বাস্তবে জনগণের অবস্থা কি তা তাদের জানা সম্ভব হয় না।
  28. এইসব নানা বিধি ফাদে পড়ে বামরা কোন ভাবেই রাজনীতিতে কোন কন্ট্রিবিউশন করতে পারছে না। কিন্তু যেসব দল মনে করছেন তারা এগিয়ে যাচ্ছেন বা যাবেন তারা ভাবছেন তাদের লোকবল বাড়ছে কিন্তু তাদের লোকবল যদি বেড়েও থাকে তাতেও সমাজের আসলে কিছু যায় আসে না যেমন CPI, CPM এর জনবল বেশি হওয়াতেও কিচ্ছু আসে যায় না। তারপরেও এটা সত্য যে এই কর্ম প্রক্রিয়া চালু রেখে কোন বামদের পক্ষেই দল বড় করা সম্ভব না। তাই আপাত জনবল ২ জন বাড়লেও তা আবার দ্রুতই ৪ জন কমে যাবে। এবং দিন দিন তা কমতে কমতে শুন্যে মিলানো শুধু সময়ের ব্যাপার।
Advertisement
Add Comment
Please, Sign In to add comment
Advertisement